‘ক্যান্সার‘ শব্দটা এখনও অনেক মানুষের কাছেই বিভীষিকাসম। এর মূল কারন হলো প্রাথমিক অবস্থায়ক্যান্সার ধরা না পড়া। তবে বর্তমানে ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করাহয় এবং প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। প্রায় ২০০প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে, প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিওআলাদা।
বর্তমান জীবনযাপনের ধারার সাথে ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। যেমন, ধূমপান বামদ্যপানের সাথে ফুসফুস, মুখ ও কণ্ঠনালীর ক্যান্সার এবং যকৃৎ বা লিভারের ক্যান্সারের যোগাযোগ রয়েছে।তেমনই ভাবে পান–সুপারি, জর্দা, মাংস, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ইত্যাদি খাবারের সাথেও ক্যান্সারের যোগসূত্ররয়েছে। যারা শারীরিক পরিশ্রম কম করে তাদের মধ্যেও ক্যান্সারের প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। ক্যান্সারের সাথে জিনগত সম্পর্ক রয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই কারণে পরিবারের কারো যদিক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থাকে তাহলে অন্যদেরও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়েযায়। তাই আমাদের সবার উচিত কোনভাবেই ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে অবহেলা না করে নিয়মিত নিজের এবংপরিবারের সকলের চেক আপ করানো এবং প্রতিরোধের সমস্ত উপায় অবলম্বন করা।
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে মানুষ সরাসরি লড়াই করছে ক্যান্সারের সঙ্গে। অধিকাংশক্ষেত্রে তারা জয়ীও হচ্ছে। তাই ক্যান্সার নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারন নেই। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে সবসময় আপনাদের পাশে আছে V care cancer centre। সব ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা পাবেন একছাদের তলায়।
বর্তমানে ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য সবথেকে কার্যকরী ভ্যাক্সিন হল HPV Vaccine। এই HPV vaccine পুরুষএবং মহিলাদের পাঁচ ধরনের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়। Oral Cancer, Anal Cancer, Genital warts, Vaginal Cancer, Cervical Cancer এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে Uterine Cancer এর বিরুদ্ধে HPV vaccine লড়তে সাহায্য করে। সাধারনত ৯ বছর বয়স থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে এই ভ্যাকসিনেশন করানোরউপযুক্ত সময়। ক্যান্সার ধরা পড়ার আগে, এমনকি ধরা পড়ার পর প্রাথমিক পর্যায়েও এই ভ্যাকসিনকার্যকর। যত দ্রুত সম্ভব এই ভ্যাকসিনেশন করিয়ে নেওয়া উচিত।
V care cancer centre এ এই ভ্যাকসিনেশন available. যেকোনো সময়ে ভ্যাকসিনের জন্য যোগাযোগ করুন এবংনিজের ও পরিবারের সকলের নিয়মিত ফুল বডি চেকআপ করাতে থাকুন। এছাড়াও মনে রাখবেন নিজেরজীবনযাত্রায় ছোটো ছোটো পরিবর্তন যেমন নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত মাংস কম খাওয়া ইত্যাদি আপনাকে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে অনেক সাহায্য করবে, এবংআপনাদের এই লড়াইয়ে সবসময় আপনাদের সাথে থাকবে V care cancer centre.